Updated January 15, 2021
বিভিন্ন রকম খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে একটি লেভেনিং এজেন্ট (Leavening Agent) হিসেবে বেকিং সোডা বা বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত কেক, বিস্কিট, ব্রেড এবং বিভিন্ন কুকিজ তৈরিতে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়।
যেহেতু এরা এক ধরনের লেভেনিং এজেন্ট, সেহেতু এরা যা করে তা হলঃ খাবারের মাঝে বিদ্যমান থেকে এরা খাবারের ভেতরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের একটি সরবরাহ তৈরি করে। যার কারণে খাবার ফুলে ওঠে এবং খাবারের একটি সুন্দর আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডার মধ্যে পার্থক্য কি? এবং কোন ক্ষেত্রে কোনটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
সহজভাবে বলতে গেলে, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডারের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হল - বেকিং সোডা হচ্ছে সোডিয়াম বাই কার্বনেট নামক এক ধরনের পদার্থ যা মূলত এক ধরনের ক্ষারজাতীয় পদার্থ এবং এই সোডিয়াম বাই কার্বনেট কে সচল বা একটিভ করতে হলে খাবারে অবশ্যই পানি ও কোন না কোন এসিড জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকতে হবে। তা না হলে সোডিয়াম বাই কার্বনেট কাজ করবেনা। অন্যদিকে বেকিং পাউডার হলো সোডিয়াম বাই কার্বনেট এর সাথে আরো কিছু উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা যার মাঝে এক ধরনের এসিড জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকে। এর ফলে রান্নার সময় বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হলে খাবারের মধ্যে কোন এসিড জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকতে হবেনা; শুধু পানি বিদ্যমান থাকলেই বেকিং পাউডার অচল হয়ে যাবে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদর্শন করবে।
অন্যভাবে বলা যায় বেকিং পাউডার হচ্ছে বেকিং সোডার সাথে আরো কিছু অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে তৈরি করা - যার ফলে খাবারে এসিড জাতীয় পদার্থ থাকার আবশ্যকতা আর প্রয়োজন না হলে তার সাথে মিশিয়ে দিলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়। অতএব রান্নায় ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার খাবারের যদি ইতিমধ্যে এসিড জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকে তাহলে বেকিং সোডা ব্যবহার করলেই হবে। কিন্তু যদি আপনার খাবারে কোন এসিড জাতীয় উপাদান না থাকে তাহলে বেকিং পাউডারই ব্যবহার করা উচিত।